বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের দাফন করে গেছেন। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে, দাফন হয়েছে দিল্লিতে। মুর্দা শেখ হাসিনা কাফন ফুঁড়ে মাঝেমধ্যে কথা বলে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছেন। সেই চেষ্টা কখনও সফল হবে না।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কক্সবাজার শহরের গোলচত্ত্বর মাঠে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘ডিসেম্বরের আগেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে’—প্রধান উপদেষ্টা এমন কথা দিয়েছেন বলে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নিয়ত যদি সাফ থাকে তাহলে অনতিবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করুন। মানুষ রক্ত দিয়েছে এই দেশে হারানো গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য। তারা জীবন দিয়েছে একটি গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য।

‘কিছু উপদেষ্টা জনগণের পালস্ বুঝেন না’—এমন মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের আকাঙক্ষা ছিলো দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ। মানুষ স্বস্তিতে থাকতে চায়। তাই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফুর রহমান কাজল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুন-অর-রশীদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, কেন্দ্রীয় সদস্য আলমগীর মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ ফরিদসহ জেলা, উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।

এর আগে, বিএনপির এই সমাবেশ ঘিরে দুপুর ১টার পর বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়িবহর ও মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এ সময় রং-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে সমাবেশস্থল। দুপুর ২টায় শুরু হয় সমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা।

১৬ বছর পর কক্সবাজারে আয়োজিত হয়েছে বিএনপির এই সমাবেশ। যেখানে ৯ উপজেলার ১৪টি সাংগঠনিক ইউনিটের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণও যোগ দেন।