বিশ্ব বাজারে কোকোর সর্বোচ্চ দরপতন!

- আপডেট সময় : ১১:৩৬:০৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ মার্চ ২০২৫
- / ১৯ বার পড়া হয়েছে
২০২৪ সালে বিশ্ববাজারে কোকোর দাম রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছালেও এবছর পণ্যটির দাম বিপরীতমুখী। ২০২৫ সালের শুরু থেকে গত ৩ মাস পর্যন্ত তা ৩৩ শতাংশ নিম্নমুখী হয়েছে। প্রতি টন কোকোর দাম ৮ হাজার ডলারের নিচে নেমে এসেছে। সম্প্রতি আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশ্বে পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো সবচেয়ে বেশি কোকো উৎপাদন করে। গত বছর আইভরি কোস্ট ও ঘানায় প্রতিকূল আবহাওয়ায় উৎপাদন কমে গিয়েছিল। ফলে বৈশ্বিক মজুদ নিম্নমুখী হওয়ায় বাজারে সরবরাহ সংকট দেখা দেয়। সে সময় কোকোর সর্বোচ্চ দাম পৌঁছে রেকর্ড ১২ হাজার ৯৩১ ডলার।
গুণগত মান ভালো না হওয়ায় আইভরি কোস্টের রফতানিকারকরা গত বছর কৃষকদের কাছ থেকে কোকো বীজ ক্রয় বন্ধ করেছিল, যা বৈশ্বিক সরবরাহ ঘাটতির আশঙ্কা বাড়িয়ে তোলে। পাশাপাশি দেশটির কোকো উৎপাদন কমে যাওয়ায় বাজারে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। উচ্চমূল্যের কারণে আইভরি কোস্ট ও ঘানার প্রধান কোকো প্রক্রিয়াজাত কারখানাগুলো উৎপাদন কমিয়ে বা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়, যা সরবরাহ সংকটকে আরো বাড়িয়ে তোলে।
খাতসংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, উৎপাদন খরচের তুলনায় কোকোর মূল্য অতিরিক্ত বাড়ায় চলতি বছরের শুরুতেই চাহিদা নিম্নমুখী হয়ে পড়ে। এছাড়া সরবরাহ বাড়ার প্রত্যাশাও সাম্প্রতিক মূল্যহ্রাসে ভূমিকা রেখেছে। উল্লেখ্য, নাইজেরিয়া এ সময় পণ্যটির রফতানি বাড়িয়েছে।
ফিউচার অ্যান্ড কমোডিটি এক্সপার্ট জাফের এরগেজেন আনাদোলু এজেন্সিকে বলেন, ‘পশ্চিম আফ্রিকার খরা পরিস্থিতি গত বছর কোকোর মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ ছিল। তবে স্বল্পমেয়াদি সরবরাহ সংকটের আশঙ্কা থাকলেও আগামী মৌসুমে কোকোর উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে, যা দাম কমাতে ভূমিকা রাখছে।’
রাবোব্যাংকের কমোডিটি অ্যানালিস্ট ওরান ভ্যান ডর্ট আনাদোলুকে জানান, তবে চলতি বছর কোকোর দাম কমে আসতে পারে। এর আগে বিভিন্ন সংস্থা চলতি মৌসুমে বিশ্বব্যাপী সরবরাহ ঘাটতির পূর্বাভাস দিয়েছিল।