এলাকায় ভূমিদস্যু নামে খ্যাত দৈনিক সমকাল এর সাংবাদিক নূরুল ইসলাম জাল দলিল সৃজন করে জোরপূর্বক ফজর আলী নামে এক ব্যক্তির জমি দখল করার জন্য বিভিন্ন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে নরসিংদী শহরের বানিয়াছল এলাকায়। গত ৩০.৪.২৫ইং তারিখে ভূক্তভোগী নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের কাজিরকান্দি গ্রামের মৃত: সায়েদ আলীর পুত্র মো: ফজর আলী কর্তৃক স্বাক্ষরিত নরসিংদী জেলা প্রশাসক বরাবরে দাখিলকৃত এক লিখিত অভিযোগ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, সাটিরপাড়া মৌজাস্থিত খতিয়ান নং-সি.এস, ১২৯৬, এস.এ ১৩৭৮, আর.এস ১৬১৩ এবং খারিজা খতিয়ান-১৯০৬৫, দাগ নং-সি.এস ৬৯/৭০, এস.এ ৬৯/৭০ এবং আর.এস ৬৪৯ নং দাগে ৭ শতাংশ ভূমির প্রকৃত মালিক ফাতেমা বেগম এর নিকট থেকে নরসিংদী পৌর শহরের বানিয়াছল এলাকায় গত ২২/৩/২০২০ইং তারিখে মো: ফজর আলী ও তার আপন ভাতিজা আব্দুস সামাদ সাফকবলা দলিলমুলে খরিদ করেন। যার দলিল নং-৪৫২৭। অত:পর ২৫.১০.২০ইং তারিখে নরসিংদী সহকারী কমিশনার ভূমি অফিস থেকে উভয়ের নামে নামজারী ও জমাভাগ মোকদ্দমা নং-২০১৪/২০-২১ এর আদেশ বলে ১৯০৬৫ নং খারিজা খতিয়ান ও জোতের মাধ্যমে আর.এস ভিত্তিক নামজারী জমাভাগ করে খাজনাদি প্রদান করে ভোগ দখল করে আসছে। অত:পর এই জমিটির উপর লোলপ দৃষ্টি পড়ে এলাকার ভূমিদস্যু হিসেবে খ্যাত দৈনিক সমকাল পত্রিকার নরসিংদী প্রতিনিধি নুরুল ইসলামের। তিনি এই জমিটি জোর পূর্বক দখল করার জন্য বিভিন্ন অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। আর এ জন্য তিনি এক জাল দলিল সৃজন করেছেন। তিনি জনৈক ইউনুছ মিয়া নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে একটি দলিল সৃজন করেন। যাহার দলিল নং-২২৬৮২। অথচ ইউনুছ মিয়া ২০১০ সালের অনেক পূর্বেই তার প্রাপ্ত অংশের অধিক জমি তার সহোদর ভাই ইউসুফ এর নিকট বিক্রি করে দিয়ে নি:স্বত্ববান হন। জমিটি নামজারী জমাভাগ করার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। তিনি মো: ফজর আলী ও তার ভাতিজা আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে তার পেশাগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে তার লোকবল দিয়ে এবং আদালতের মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। সাংবাদিক নুরুল ইসলামের ভানুমতির খেলা এখানেই শেষ হয়নি। তিনি বিভিন্ন সরকারি কর্মকর্তাকেও ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে আসছেন। এই ভূমিদস্যুর কাজ একমাত্র হচ্ছে কারো কোন বেদখল জমির কাগজপত্র খরিদ করে অন্যায়ভাবে প্রতিপক্ষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে মোটা অংকের টাকা আদায় করা। ইতিপূর্বে তার এই অনৈতিক কার্যকলাপের কারনে বিটিভি ও সমকাল পত্রিকা থেকে তার চাকুরী চলে যায়। পরবর্তীতে নুরুল ইসলাম তৎকালীন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর আর্শিবাদে দৈনিক সমকাল পত্রিকা ফিরে পান।
এ ব্যাপারে নুরুল ইসলাম এর মোবাইল ফোনে কথা বললে তিনি জানান আমার দলিল সঠিক। আমি ফজর আলীকে কোন হুমকি বা ভয়ভীতি দেখাইনি।
এই ভূমিদস্যু নুরুল ইসলাম এর অত্যাচারে এলাকার সাধারণ মানুষ অতিষ্টি হয়ে পড়েছে। ভূক্তভোগী ফজর আলী ও তার ভাতিজা আব্দুস সামাদ তার হাত থেকে রক্ষা পেতে স্থানীয় প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।